৩৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২টি বিষয়ে নিয়োগ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫ জন সহকারী শিক্ষক।
আর ৩৪ হাজার ৭৩ জন বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন এখনো সম্পন্ন হয়নি। তাই সরকারি রিপোর্টে তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিয়োগ বাতিল হবে।
৩১ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষকদের হাতে ভার্চুয়ালি নিয়োগপত্র তুলে দেন। এছাড়া সশরীরে কয়েকজন শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে ২ হাজার ১৫৫ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২ হাজার ৬৫ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পাওয়া গেছে, তাদের আজ (সোমবার) নিয়োগপত্র দেওয়া হলো।
পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ৪৯৩ জন, ইংরেজির ১৬১ জন, গণিতের ১৯১ জন, সামাজিক বিজ্ঞানের ৮৩ জন, ধর্মের ২৪৫ জন, ভৌত বিজ্ঞানের ১৭০ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৬৬ জন, চারুকলায় ১৫৪ জন, শারীরিক শিক্ষায় ১০৬ জন, কৃষি শিক্ষায় ৭১ জন, জীব বিজ্ঞানে ২১৯ জন এবং ভূগোলের শিক্ষক ১০৬ জন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত বছরের ১৫ জুলাই বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় ৩৮ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। এদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৭৩ জনকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হলো আজ। তবে পুলিশ ভেরিফিকেশন কাজ শেষ না হওয়ায় আপাতত তাদের শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ২১০ জন প্রার্থীকে ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ফরম জমা দিতে বলা হয়েছে।
এনটিআরসিএ-র মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া পদের মধ্যে এমপিও পদ রয়েছে ৩০ হাজার ৯০৪টি আর নন-এমপিও পদ রয়েছে ৩ হাজার ১৬৯টি। প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন ৬ হাজার ৫০১ জন, সহকারী শিক্ষক পদে ২৪ হাজার ৪১৮ জন, সহকারী মৌলভী পদে ১ হাজার ৫২৮ জন, ইবতেদায়ী মৌলভী পদে ৩৫৫ জন, ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর পদে ৩৮৯ জন, ইনস্ট্রাক্টর পদে ১০০ জন, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ৬ জন, প্রদর্শক পদে ১৯৪ জন, ইবতেদায়ী ক্বারী পদে ৯৩ জন এবং ইবতেদায়ী শিক্ষক পদে ৪৮৯ জন।