জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক ফেরদৌস সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র পাঁচ দিনের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ফেরদৌস সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের আগে তিনি ব্যস্ত ছিলেন হৃদি হকের সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘১৯৭১ সেইসব দিন’-এর কাজ নিয়ে। নির্বাচনপরবর্তী কাজ শুরু করছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি ভাষার মাসের প্রথমদিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মারুফের কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে জেডএইচ মিন্টুর পরিচালনায় ‘ক্ষমা নেই’সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন।
সিনেমাটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, এটা মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা এবং তার পরবর্তী সময়কাল অর্থাৎ আশির দশক পর্যন্ত সময়কালের গল্প। এর আগেও আমি এ সিনেমার বেশ কয়েক দিন শুটিংয়ে অংশ নিয়েছি। এ সিনেমায় আমি একজন প্রফেসরের চরিত্রে অভিনয় করছি।
ফেরদৌস জানান, কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে শুটিং শেষ করা ‘দামপাড়া’সিনেমাটিও মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা। ‘দামপাড়া’র কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আনন জামান, পরিচালনা করেছেন শুদ্ধমান চৈতন। বাসু চ্যাটার্জি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’সিনেমার নায়ক খোঁজার জন্য, তখন কলকাতায় ফিরে যাবার দিন বিমানবন্দরে যাবার আগে বিএফডিসিতে ‘বুকের ভেতর আগুন’সিনেমায় ফেরদৌসের অভিনয় দেখেন এবং ফেরদৌসকে ডেকে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’সিনেমার অফার করেন। এই সিনেমাতে অভিনয়ের জন্যই ফেরদৌস প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। পরবর্তীতে সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মণ্ডের ‘গঙ্গাযাত্রা’, নেয়ামুলের ‘এক কাপ চা’, গুলজারের ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ও মান্নুর ‘পুত্র’সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কারে ভূষিত হন।