লাখ টাকার পণ্যের নিলাম আয়োজনে ব্যয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু পণ্য থেকে যাচ্ছে অবিক্রীত। ফলে বিপাকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। ২৭ বার নিলামে তুলেও বিক্রি হয়নি কেমিক্যালসহ শত শত লট পণ্য। কিন্তু প্রতিমাসে নিলাম ডাকায় এবং নষ্ট হওয়া পণ্য ধ্বংসে ঠিকই গচ্চা যাচ্ছে বিপুল অর্থ।
চট্টগ্রাম বন্দরের গুদামে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা মূল্যের ২ টন টেক্সটাইল কেমিক্যালের একটি লট পড়ে আছে প্রায় ১১ বছর ধরে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ বার নিলামে তুললেও বিক্রি করা যায়নি। সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি এই কেমিক্যালসহ ৬৪ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। কিন্তু গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ৩২ লট পণ্য কেনার ব্যাপারে আগ্রহই দেখাননি ক্রেতারা। অথচ এসব পণ্যের জন্য মাসে অন্তত ২ বার নিলাম আয়োজন এবং লজিস্টিক সাপোর্টের পেছনে খরচ হচ্ছে অন্তত ৫ লাখ টাকা।
শুধু তাই নয়, নিলামে বিক্রি না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেডে পড়ে থাকা ৪১৪ টন কেমিক্যাল এখন ধ্বংস করতে হচ্ছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে। যেখানে গুণতে হবে অন্তত ২ কোটি টাকা। কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এয়াকুব চৌধুরী বলেন, ধ্বংস করলে কোটি টাকা আহরণের চেয়ে মাইনাস হবে। বন্দর সেডের মধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হচ্ছে।
একই অবস্থা কার নেট সুবিধায় আনা ১২৫টি গাড়ির ক্ষেত্রেও। কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়াসহ নানা জটিলতায় ৮ বার নিলামে তুললেও বিক্রি হয়নি একটিও। ফলে নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ, কমছে ক্রেতাদের আগ্রহও। শুধু কেমিক্যাল বা গাড়ি নয়, যথাসময়ে নিলাম না হওয়ার চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে ধ্বংসযোগ্য শতাধিক কন্টেইনার পণ্য।