শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে । এবার ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৪১ জন শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তির জন্য আবেদন করলেও প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৬ জন। তবে এসএসসি ও সমমানে জিপিএ-৫ পেয়েও কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি ১২ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী।
আসন সীমিত থাকায় ও ভালোমানের কলেজগুলোতে বেশি আবেদন হওয়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী ১২ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী প্রথম দফায় ভর্তির সুযোগ পাননি।
জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন রোববার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বলেন, এটা অর্ডার অব চয়েসের কারণে হয়েছে। দশটি কলেজ চয়েস দেওয়ার সুযোগ থাকলেও অনেক শিক্ষার্থী বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পাঁচটি কলেজ চয়েস দিয়েছেন। যেমন- ঢাকা কলেজে ১২০০ সিটের জন্য আবেদন পড়েছে ২৬ হাজার ৬৬৫টি।
তিনি বলেন, জিপিএ-৫ পেলেও মেধাক্রম ও স্কোরে পিছিয়ে পড়ায় এসব শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে নির্বাচিত হতে পারেননি। অটোমেটশেনের আওতায় থাকা সার্ভারে ওপরের সারিতে থাকা শিক্ষার্থীরাই প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
তবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন করেও ভর্তির সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অটো মাইগ্রেশনের সময় আসন শূন্য হলে কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। আগামী ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সেদিন রাত ৮টায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে।
১১-১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আর ২ মার্চ থেকে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।