টাঙ্গাইলের সখীপুরে মিনি ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছে ৮ বছরের শিশু ওহিদুজ্জামান অভি। বুধবার (১৭ মার্চ) ভোর পৌনে ৬টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মিনি ম্যারাথনে অংশ নেওয়া তিন শতাধিক রানারের মধ্যে অভি অন্যতম। এর আগে তৈলধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শত শত রানারের মধ্যে অভি সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করে।
ওহিদুজ্জামান অভি ঢাকার কল্যাণপুর মফিজুল ইসলামের ছেলে ও মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ সময় হাফ ম্যারাথনে ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে অভির সময় লেগেছে ৫৬ মিনিট। এ সময় অভির বোন মাফিয়া ইসলাম উর্মি হাফ ম্যারাথনে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে। সে কল্যাণপুর গার্লস স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে টাঙ্গাইলের বাসাইল-সখীপুরে হাফ ম্যারাথন ও মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। হাফ ম্যারাথন (২১ কিলোমিটার) সখীপুরের তৈলধারা-গড়বাড়ি থেকে শুরু হয়ে ইন্দারজানি-চাটানপাড়া, ইন্দারজানি-গড়বাড়ি, তৈলধারা- মহানন্দনপুর মহিলা কলেজ সড়ক হয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
মিনি ম্যারাথন (১০ কিলোমিটার) তৈলধারা-গড়বাড়ি থেকে শুরু হয়ে তৈলধারা-মহানন্দনপুর, মহিলা কলেজ সড়ক হয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আলোচনা সভায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, অভির বাবাও গত তিন বছর ধরে ম্যারাথনে অংশ নেন। তার বাবার অনুপ্রেরণায় গত ৬ মার্চ ফরিদপুরের রাজবাড়ী ৬ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেয় সে।
ওহিদুজ্জামান অভি বলেন, আব্বু ও আপু ম্যারাথনে অংশ নেয়। তাদের দেখে আমার অংশ নেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তাই আমি এইবার দিয়ে দুইবার অংশ নিলাম। দৌড়াতে খুব ভালো লাগে। বড় হয়ে একজন ভালো রানার হতে চাই। ওভির বোন মাফিয়া ইসলাম উর্মি বলেন, সুস্থ দেহ থাকলে মনও ভালো থাকে। আর সুস্থ দেহের জন্য দৌড়ানো প্রয়োজন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সময় বের করে দৌড়ে অংশ নিয়ে থাকি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থ থাকতে চাই। আমার ছোট ভাইটিও মিনি ম্যারাথন শেষ করেছে।
অভির বাবা মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সাল থেকে আমি ম্যারাথনে অংশ নিচ্ছি। এর আগে ঢাকা ম্যারাথন, শাহিন কলেজ হাফ, বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন ও ঢাকা নেক্সট ম্যারাথনে অংশ নিয়েছি। আমার ছেলে আজ ১০ কিলোমিটার দৌড়েছে। তাকে রানার এক্সপার্টস বানানোর ইচ্ছে আছে।
ডেসকো বোর্ডের ডিরেক্টর ও ম্যারাথনের আয়োজক ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ বলেন, বাসাইল-সখীপুর থেকে মাদক, বাল্য বিয়ে ও সন্ত্রাস দূর করতে কিছু যুবককে দৌড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছি। তাদের সঙ্গে নিয়ে হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮ বছরের শিশু অভির দৌড় সকলের নজর কাড়ছে। শিশুটি যে ১০ কিলোমিটার দৌড়াবে তা কল্পনাও করিনি।