মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় ন্যায়বিচারের আশা করছে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ দাশের পরিকল্পনা ও নির্দেশেই সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ওসি প্রদীপের আইনজীবীর দাবি, মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ষড়যন্ত্রের শিকার প্রদীপ। মামলার বাদী চান প্রদীপ ও লিয়াকতের সর্বোচ্চ শাস্তি। হত্যার দেড় বছরের মাথায় সোমবার রায় ঘোষণা করবে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
করোনা সংক্রমণের কারণে একবার তারিখ দিয়েও শুরু করা যায়নি চাঞ্চল্যকর মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিচারকাজ। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানালেন, পরে একমাস পিছিয়ে হত বছরের ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় এ কার্যক্রম। প্রথম দফায় তিন কার্যদিবসে আসামিদের ভূমিকা আদালতে তুলে ধরেন বাদীসহ চারজন সাক্ষী। এরপর ৮৩ সাক্ষীর ৬৫ জনের সাক্ষ্য, জেরা, দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে টানা সাড়ে চার মাসে বিচার কাজ শেষে মামলাটি রায়ের জন্য প্রস্তুত করেন আদালত।
তবে ভিন্নমত আছে আসামিপক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্তের। তার দবি, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে প্রদীপকে। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। প্রথমে পুলিশ এই ঘটনায় মেজর সিনহার কয়েক সঙ্গীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে ৫ আগস্ট বাহার ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ দাশকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বোন। মামলায় তিন মাসের তদন্ত শেষে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত সংস্থা র্যাব। ক্যামেরায় কথা না বললেও, মামলার প্রধান দুই অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন বাদী ও মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার।