বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পক্ষে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজা বা তামিম ইকবালরা বরাবরই সাফাই দিয়ে এসেছেন । নিয়ম করে প্রতি বছরই বিপিএল আয়োজনের তাগিদ দেন তারা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গতবছর মাঠে গড়ায়নি দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ওই বছরই কি না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি বাংলাদেশ দলের।
আগামী ২১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে বিপিএলের অষ্টম আসর। চলতি বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই ফরম্যাটের বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানালেন, বিপিএল দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারবেন।
মাহমুদউল্লাহ বলছিলেন, ‘প্রায় দুই বছর পর আমরা বিপিএল খেলছি। সবার জন্যই দারুণ সুযোগ। আমাদের কন্ডিশনে ভালো খেলে আমরা অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারব।’ এবারের বিপিএলে মাহমুদউল্লাহ খেলবেন মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে। এই দলটির অধিনায়কও তিনি। তার নেতৃত্ব খেলবেন তামিম, মাশরাফির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। তাদের নিয়েই দলগতভাবে প্রতিপক্ষ বধের ছক আঁকছেন মাহমুদউল্লাহ।
ঢাকা দলের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘কোনো চাপ নেই, আমার কোনো চাপ নেই। এরকম দল পেয়ে আমি খুশি। আমাদের দলের সবচেয়ে বড় দিক হল এখানে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সাথে ম্যাচ উইনার খেলোয়াড়ও অনেক। দিনশেষে দলগতভাবে ভালো খেলতে হবে।’
এবার বিপিএলে প্রতি দলের একাদশে বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পারবে ৩ জন করে। দেশিদের সুযোগ দিতে সংখ্যাটা আরো কমানো যেত কীনা জানতে চাইলে বললেন, ‘পরিস্থিতি ও টিম কম্বিনেশনের ওপর নির্ভর করে। কন্ডিশনও বিবেচনায় রাখতে হবে। এই বিপিএলের সময় অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ বিপিএল হচ্ছে, অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের কোনো বিদেশি যদি ইঞ্জুরিতে পড়ে বা করোনা আক্রান্ত হয়, তখন হয়ত দেশি খেলোয়াড় নিয়েই খেলতে হবে।’