জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে দ্রুত আইন করার পরামর্শ দিয়েছেন কূটনীতিকরা। রোববার (১৬ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশ নিয়োজিত ৪০ জন কূটনীতিক নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বছরের প্রথম কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি, এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি এবং পররাষ্ট্র সচিব জনাব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।
আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের পদ্ধতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বর্তমান সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) বিষয়ে তিনি সর্বোত্তম কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের অফিসগুলোর সাথে সরকারের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন। বিফ্রিং শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এটা ঘরোয়া বৈঠক। ডিএসএ এবং নির্বাচন নিয়ে আলাপ করেছি। এগুলো আপনারা জানেনই। নতুন কিছু নয়। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে কূটনীতিকদের প্রশ্ন নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা কী বলল; না বলল, তার থেকে আমাদের জনগণ কী বলল, সেটি বেশি জরুরি।
ডিএসএ নিয়ে কূটনীতিকদের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের যা বলেছি, তা পাবলিকলিও বলেছি। ইতিমধ্যেই এগুলো বলেছি। এলজিআরডি মন্ত্রী চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিভিন্ন ধাপ ও ফলাফল সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এসব নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের ব্যবসায়িক অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের উদ্যোগের কথা বলেন।