যুব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সে হতাশ করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অন্য যেকোনো আসরের চেয়ে নজরটা ছিল একটু বেশি। কারণটাও স্পষ্ট, এর আগে কোনো বৈশ্বিক আসরেই যে ‘চ্যাম্পিয়নের’ তকমা নিয়ে খেলতে যায়নি বাংলাদেশ।
শুরুতে ব্যাটাররা গুটিয়ে গেছেন মাত্র ৯৭ রানে। ওয়ানডে ফরম্যাটের ম্যাচটিতে দলীয় সংগ্রহ নিতে পারেননি তিন অঙ্কের ঘরে। পরে বোলাররাও পারেননি জাদুকরী কিছু করতে। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ।
রোববার ব্যাসেটেরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। আগে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ৯৭ রানের বেশি করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
জবাব দিতে নামা ইংল্যান্ড ব্যাটারদের শুরুর দিকে কিছুটা ভয় ধরিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষত আশিকুর রহমানের গতি ও বাউন্স। কিন্তু এত অল্প লক্ষ্যে কিছুই করার ছিল না বোলারদের। ২৫ ওভার ৩ বলে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
তাদের পক্ষে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬৩ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন জ্যাকব ব্যাথল। ৩৯ বলে ২৬ রান করেন জেমস রে। বাংলাদেশের পক্ষে ১ উইকেট করে পেয়েছেন রাকিবুল হাসান ও রিপন মণ্ডল। বাকি একটি হয় রান আউট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে তার দল। স্কোরকার্ডে ৮ রান যোগ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরত যান ৪ ব্যাটার।
দুই ওপেনারের মধ্যে মাহফিজুল ইসলাম ৩ ও আরিফুল ইসলাম করেন ৪ রান। তিন নম্বরে খেলতে নামা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ফেরেন ০ রান করে। ৩৫ বলে ১৩ রান করে আউট হন আরেক প্রতিভাবান ব্যাটার আইচ মোল্লা।
মাত্র ৫১ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে যখন অলআউটের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তখনই হাল ধরেন যথাক্রমে ১০ ও ১১ নম্বরে খেলতে নামা নাঈমুর রহমান ও রিপন মণ্ডল। দুজন গড়েন ৪৬ রানের জুটি। তাদের উপর ভর করে ১০০ রানের বেশি করার স্বপ্নও দেখে বাংলাদেশের যুবারা।
কিন্তু দলকে তিন অঙ্কের সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি তারা। ২৭ বলে ১১ রান করা নাঈমুর রহমান আউট হলে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ১১ নম্বরে খেলতে নামা রিপন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৯ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জশুয়া বউডেন। তিনিই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।