পদ্মা সেতুর কাজ শেষে রেল যোগাযোগ শুরু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা থেকে মাত্র ৩ তিন ঘণ্টায় কলকাতা পৌঁছতে পারবে মানুষ। বাংলাদেশ রেলওয়ের এক কর্মকর্তা এমনই আশার কথা জানিয়েছেন।
পুরোদমে চলছে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। প্রায় ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর এক প্রান্তে রয়েছে মাওয়া, অপর প্রান্তে রয়েছে জাজিরা। আশা করা হচ্ছে, চলতি ২০২২ সালেই সেতুটির উদ্বোধন হতে পারে। এই সেতুর ওপরের তল দিয়ে চলবে যানবাহন। আর নিচের তল দিয়ে চলবে রেল। সেতুর কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সংযোগ সম্পূর্ণ হলেই এই পথ দিয়ে চলাচল করবে ঢাকা-কলকাতা সংযোগকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত পরিচালক, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর, পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা আশাবাদী যে, আগামী বছরই এই পথে যাতায়াত শুরুর করা যাবে। সেই লক্ষ্যেই পুরোদমে কাজ চলছে।
তিনি জানান, বর্তমানে রেলপথে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসতে পাড়ি দিতে হয় ৪০০ কিলোমিচার পথ। কলকাতা স্টেশন থেকে গেদে-দর্শনা হয়ে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছতে প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। আর সড়কপথে তো পদ্মার ওপর ফেরি পারের অপেক্ষায় পুরো দিন চলে যায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম এই সেতুটি চালু হলে রেলপথে কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ২৫০ কিলোমিটারে। তখন ট্রেনটি চলাচল করবে বনগাঁ-পেট্রাপোল হয়ে। ফলে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছনো যাবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশে রেলওয়ের ওই কর্মকর্তা।