শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে হলফনামা আকারে চারটি মন্ত্রণালয়কে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার রুলসহ এই আদেশ দেন। রুলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিস্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিবসহ চারটি মন্ত্রণালয় এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে হবে।
গত বছরের অক্টোবরে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ বিষয়ে রিটটি দায়ের করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। নারী ও শিশুর প্রতি যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালের ১৪ মে যুগান্তকারী রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এক যুগেও নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। এ কারণে গত বছর একই বিষয়ে ফের রিটটি দায়ের করা হয়।