যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন, এই দুই পরাশক্তি সামলে চলাই আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ, এমন মন্তব্য করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। এর ফলে বাংলাদেশ পুরানোর পাশাপাশি কূটনীতির নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহুপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কিনা, সেটিই এখন চিন্তার বিষয়। বৈশ্বিক কারণে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়লে প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্সেও। পররাষ্ট্র দফতর বলছে, সবার সাথে বন্ধুত্বের নীতি বহাল রেখেই পরিস্থিতি সামাল দেবে সরকার।
বিদায়ী বছরের শেষপ্রান্তে র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশেরন কূটনীতিতে বড় ধাক্কা। এর নানামুখী প্রভাব পড়তে পারে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা যে সহজভাবে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, এসব ঘটনা তার ফল কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খান। মানবাধিকার, সুশাসন ও জবাবদিহিতার মতো ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসন বৈশ্বিকভাবে আরও সক্রিয় হবে, তা অনেকেই নিশ্চিত বলেও মনে করছেন এই বিশ্লেষক।
তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নানা ফোরামে আলোচনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। সেই সাথে অর্থনৈতিক কূটনীতি অগ্রাধিকার হিসেবে বেইজিংকেও পাশে চায় ঢাকা। ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাড়তে পারে সৌদি আরব-ইরান টানাপোড়েন, অস্থিতিশীলও হতে পারে মধ্যপ্রাচ্য। আর তা হলে কমবে প্রবাসী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ, প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহে। এতো শঙ্কার মধ্যেও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হচ্ছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানালেন, এ নিয়ে আশাবাদী সরকার। আর আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো, জলবায়ূ পরিবর্তন এবং করোনার ভ্যাকসিনের মত ইস্যু কূটনীতির অগ্রাধিকার তালিকায় থাকছে।