সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দুটি মামলায় জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলে প্রায় সাড়ে ৪শ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ বাদী হয়ে একটি ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ মুন্না বাদী হয়ে আরও একটি মামলাটি দায়ের করেন। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ৬টি মামলা দায়ের হলো। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি, ছাত্রলীগের দুই নেতা বাদী হয়ে দুটি এবং একজন আওয়ামী লীগ কর্মী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামি করে একটি এবং কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ মুন্না বাদী হয়ে ১০৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামি করে অপর মামলাটি দায়ের করেছেন।
এসব মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, নূর কায়েম সবুজ, ভিপি শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, শহর বিএনপির সভাপতি মুন্সী জাহিদ আলমসহ সিনিয়র নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামি করে একটি, এসআই আলীম হোসাইন বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনকে আসামি করে একটি এবং এসআই মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে রেলওয়ে কলোনি মহল্লার আওয়ামী লীগ কর্মী উজ্জ্বল হোসেন বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় এসব মামলায় জেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাসহ চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার সময় বিএনপির সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে শহরের কলেজ রোড, ইলিয়ট ব্রিজ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭০ নেতাকর্মী আহত হয়।