ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌযানটির মালিক হামজালাল শেখসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রোববার মামলাটি আমলে নিয়ে এই আদেশ দেন ঢাকার নৌ আদালতের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম। বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর বেল্লাল হোসাইন জানান, মামলার আসামিরা হলেন লঞ্চ কোম্পানির ৪ মালিক হামজালাল শেখ, শামিম আহম্মেদ, রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। এছাড়া লঞ্চটির ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালামও আসামি।
এর আগে আজ দুপুরে নৌ আদালতে মামলাটি দয়ের করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান। এতে লঞ্চে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং জীবন রক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া ও বালুর বাক্স না থাকা, ইঞ্জিন কক্ষের কাছে ডিজেলের ড্রাম রাখা এবং রান্নায় গ্যাসের চুলা-সিলিন্ডার রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌযানটির মালিক হামজালাল শেখসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে । বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম নাসির। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোররাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে মাঝ নদীতে আগুন লাগে। দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন অগ্নিকাণ্ডে নৌযানটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। প্রাণ হারায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা অনেক। ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটির এখনো অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।