করোনাভাইরাসের আরও একটি রূপ বেরিয়ে পড়েছে, যার নাম ‘ডেলমিক্রন’? সমাজমাধ্যমে করোনাভাইরাসের এই ‘নয়া রূপ’ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশীর মন্তব্যের পরেই।
শশাঙ্ক বলেছিলেন, ‘ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি রূপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। তার নাম ডেলমিক্রন। এটির স্পাইক প্রোটিন ডেল্টা ও ওমিক্রন, এই দুই রূপের স্পাইক প্রোটিনগুলোর মিশেলে গড়া। ডেলমিক্রন এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ছোটখাটো সুনামি এনেছে।’
যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অন্য কোনও মিউটেশনের ফলে ওমিক্রনের পর করোনাভাইরাসের আরও একটি রূপ বেরিয়েছে বলে এখন পর্যন্ত তাদের জানা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এ ব্যাপারে কিছু ঘোষণা করেনি। জানায়নি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলও (সিডিসি)। ভারতের জাতীয় কোভিড টাস্ক ফোর্স বা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চও (আইসিএমআর) এখনও পর্যন্ত ‘ডেলমিক্রন’ ভাইরাসের কথা ঘোষণা করেনি।
করোনাভাইরাসের শেষ যে রূপটিকে ‘ভেরিয়্যান্ট অব কনসার্ন’ বা ‘উদ্বেগজনক ধরন’ বলে নভেম্বরে ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও, সেটি ওমিক্রন।
তবে বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন, চিকিৎসক জোশী নিজেও হয়তো ডেলমিক্রন রূপের কথা বলতে চাননি। ডেল্টা ও ওমিক্রন ভাইরাস দু’টি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও আমেরিকায় একই সঙ্গে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিকেই ‘ডেলমিক্রন’ নাম দিয়ে হয়তো তিনি বোঝাতে চেয়েছেন।
করোনাভাইরাসের নানা রূপের নামকরণ করা হয়েছে গ্রিক অক্ষর দিয়ে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হলে ওমিক্রনের পর করোনাভাইরাসের পরের রূপগুলির নাম হতে পারে— ‘পাই’, ‘রো’ অথবা ‘সিগমা’। ডেলমিক্রন হতে পারে না।
এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।