বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের ২৯ লাখ তিন হাজার ৮৪১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে পুলিশ সদর দপ্তরের কল্যাণ ট্রাস্টের আইন কর্মকর্তা মো. সুজন আলী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি (নম্বর-২১) দায়ের করেন। মামলায় রাজধানীর মালিবাগের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে তারেক হায়দারকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, মামলাটি নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট নিজস্ব আয় দ্বারা পরিচালিত হয়। এ ট্রাস্ট থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চিকিৎসার সাহায্য পেয়ে থাকেন। এই ট্রাস্টের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পুলিশ প্লাজা কনকর্ড। গুলশানে অবস্থিত এই বিপনী বিতানের একটি দোকান থেকে গত চার বছর ধরে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বাবদ ২৯ লাখ তিন হাজার ৮৪১ টাকা ট্রাস্টে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তারেক হায়দার।
বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের ২৪৭ নম্বর দোকানটি নিয়ম অনুযায়ী ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর নির্ধারিত ভাড়া প্রদানের শর্তে বরাদ্দ নেন তারেক হায়দার। দোকানটির মাসিক ভাড়া ৩৮ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার দোকান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিলের টাকা ট্রাস্টে জমা হয়নি। এজাহারে আরও বলা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর তারেক হায়দারের সঙ্গে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের ম্যানেজার মো. আল আমিন যোগাযোগ করলে তিনি টাকা পরিশোধ করবেন না বলে জানান।