আজ রোববার তিনি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে ইলিংওয়ার্থের বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ার এ খবর নিশ্চিত করেছে। টুইটারে এক বার্তায় ইয়র্কশায়ার জানিয়েছে, ‘রে ইলিংওয়ার্থ চলে গেছেন জেনে আমরা অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। রের পরিবার ও বৃহত্তর পরিসরে পুরো ইয়র্কশায়ারের যারা রে’কে হৃদয়ে ধারণ করতেন, সবাইকে সমবেদনা জানাচ্ছি। ‘
কয়েকদিন আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত নিজ স্ত্রীকে হারিয়েছেন ১৯৭০-৭১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে অ্যাশেজজয়ী ইলিংওয়ার্থ। এই ব্যধি বাসা বেধেঁছিল তার শরীরেও। চিকিৎসা নিলেও সুফল পাচ্ছিলেন না তিনি। ভয়াবহ এই ব্যধির যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এমনকি নিজের স্বেচ্ছমৃত্যুও চেয়েছিলেন। তবে ইংল্যান্ডে সেই আইন না থাকায় তিনি আক্ষেপ করেছিলেন।
৮৯ বছরের ইলিংওয়ার্থের খাদ্যনালীতে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। ইউরোপের বেশ কিছু দেশে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ‘স্বেচ্ছায় মৃত্যু’র ব্যবস্থা আছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে এখনো সেটা আইনসিদ্ধ নয়। ক্যান্সারে ধুঁকে ধুঁকে মরতে রাজি ছিলেন না ইলিংওয়ার্থ। ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’কে ইলিংওয়ার্থ বলেছিলেন, ‘চিকিৎসকেরা টিউমারের বাকি অংশটা দ্বিগুণ কেমোথেরাপি দিয়ে দূর করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দেখি আগামী দুই ডোজ কেমন যায়। আমি আশায় আছি, ভাগ্য আমার পক্ষে থাকবে। ‘
চলতি বছরেই ক্যান্সারে মারা গেছেন ইলিংওয়ার্থের স্ত্রী শিরলে। সেই স্মৃতিচারণ করে ইলিংওয়ার্থ বলেছিলেন, ‘শেষ ১২টা মাস ওর জীবনটা যে রকম ছিল, আমি চাই না আমারও সে রকম কাটুক। ওকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে যেতে হয়েছে। শেষ একটা বছর ওর জীবন বলে কিছু ছিল না। সত্যি বলছি, আমি ওরকম জীবন চাই না। আমি স্বেচ্ছামৃত্যুতে বিশ্বাসী। কিন্তু ইংল্যান্ডে সে আইন নেই। কী আর করা যাবে। এই নিয়ে তর্ক, আলোচনা চলছে। আশা করি, একদিন স্বেচ্ছামৃত্যু আমাদের দেশেও আইনি স্বীকৃতি পাবে। ‘তবে আইনি স্বীকৃতির অপেক্ষায় না থেকে পরপারে পাড়ি জমালেন ইলিংওয়ার্থ।