ইউক্রেন সীমান্তে মহড়া শেষে রাশিয়ার ১০ সহস্রাধিক সেনা স্থায়ী ঘাঁটিতে ফিরেছে। রুশ সেনাবাহিনীর বরাতে ইন্টারফ্যাক্স এই খবর দিয়েছে।খবরে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেন সীমান্ত সংলগ্ন কয়েকটি অঞ্চলে দীর্ঘ সময়ব্যাপী মহড়া শেষে ১০ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা স্থায়ী ক্যাম্পে ফিরেছে। সম্প্রতি রাশিয়া ১ লাখের বেশি সেনা ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণ সীমান্তে জড়ো করে। ঘটনার পর কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলোই উক্রেনে রাশিয়া হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে।
যদিও রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। তবে রাশিয়া ইউক্রেনকে সামরিক জোট ন্যাটোতে সংযুক্ত না করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ক্রেমলিন স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বলেছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে যেকোনো জায়গায় সেনা মোতায়েন বা বাড়ানোর অধিকার তাদের রয়েছে। ক্রেমলিনের অভিযোগ, পশ্চিমা দেশগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায় উসকানিমূলক সামরিক আচরণ করছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় শত শত সশস্ত্র গাড়ি ও ট্যাংক টহল দিচ্ছে। অথচ অক্টোবর মাসে নেওয়া স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, ওই একই ঘাঁটির অর্ধেকটা ফাঁকা। ক্রিমিয়ার ওই ঘাঁটিতে সামরিক যান, ট্যাংক, নিজে চালিত কামান, বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার বলেন, রাশিয়া সহিংসতা এড়াতে চায়। আগামী জানুয়ারি মাসে জেনেভায় নিরাপত্তা ইস্যুতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে বলেও আশা করছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর বিষয়ে বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে মস্কো এমন আচরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সীমান্তে উসকানিমূলক আচরণের কারণেই রাশিয়া সেনা বাড়িয়েছে। ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া নতুন যেসব সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে সে জন্য তাঁদের রপ্তানির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হতে পারে।