দেশের মধ্যাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে কুয়াশা কেটে গিয়ে কমে আসতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলাসহ সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার নাগাদ আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। তবে বর্ধিত দিনগুলোতে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকায় বিরাজমান। উত্তর সুমাত্রা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং মালাক্কা প্রণালীতে অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, দেশের মধ্যাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এতে শৈত্যপ্রবাহ কমতে পারে। আবহাওয়ার আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলাসহ সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্য এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ এবং চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৪, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৫, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৮, রংপুরে ১২ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ এবং বরিশালে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।