ফিলিপাইন রেডক্রসের চেয়ারম্যান রিচার্ড গর্ডন বলেন, বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল ও কমিউনিটি বাড়িগুলো ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বাড়ির চালা উড়ে গেছে। গাছ উপড়ে পড়েছে। কংক্রিটের তৈরি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। কাঠের ঘর ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রাইয়ের কারণে অনেক জায়গায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের হাজারো কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকায় খাদ্য, পানি, চিকিৎসাসামগ্রীসহ কোস্টগার্ডের পাশাপাশি নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠানো হয়েছে। এএফপির খবরে বলা হয়, রাইয়ের ভয়াবহতা ২০১৩ সালে দেশটিতে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। হাইয়ানকে ফিলিপাইনে এযাবৎকালে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। এ ঘূর্ণিঝড়ে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি ফিলিপাইন। দেশটিতে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় আঘাত হানে।