রাজশাহীর পুঠিয়ায় বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ ওরফে ডিস কালাম। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কালাম বিএনপিতে থাকাকালে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারণার জন্য বানেশ্বর বাজারে তৈরি নৌকা তার নেতৃত্বে পোড়ানো হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়া একাধিক প্রার্থী ও স্থানীয় নেতা জানান, কালাম বিশেষ কৌশলে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এসেছেন। এতে দলের মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে। অথচ তার ও পরিবারের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নানা অভিযোগ রয়েছে। তার এক ছেলে অস্ত্রব্যবসা করতে গিয়ে র্যাবের হাতে পিস্তলসহ আটক হয়েছেন। উল্লেখ্য, এবার এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে কালামসহ ১২ জন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ২০০৮ সালে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারার হাতে ফুল দিয়ে কালাম আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০১৩ সালে সম্মেলনে বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। সে সময় সাবেক নেতা মৃত আব্দুস সাত্তার মেম্বার প্রতিবাদ জানালে তাদের মধ্যে কয়েক দফা হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটে।
একপর্যায়ে সাত্তার মেম্বারকে ফাঁসাতে কালাম আত্মগোপনে চলে যান এবং তার পরিবারের লোকজন মামলা করেন। তাকে উদ্ধারের পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন। এ অপকর্মের অভিযোগে তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি বলে জানান রাজশাহী জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভোট এলেই কিছু লোক মিথ্যা প্রচারণা শুরু করেন। আমি বিএনপির নই, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। দল আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, কালাম আমার হাতে ফুল দিয়ে দলে যোগ দেননি। তিনি অনেক আগেই আব্দুস সাত্তারের মাধ্যমে বিএনপি থেকে এ দলে এসেছেন। বর্তমান নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এতে আমার কোনো হাত নেই।