বাংলাদেশ দলের কাছে এক বিভীষিকার নাম নিউজিল্যান্ড ! কিউই সফরে গিয়ে তিন ফরম্যাটে এখনো কোন ম্যাচই জিততে পারেনি টাইগাররা। সঙ্গে ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ হামলা মন ভারি করে লাল-সবুজের ক্রিকেটকে। এবার কেন উইলিয়ামসনদের দেশে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় পড়েছে মুমিনুল হকের দল। নিউজিল্যান্ডে খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সফরকারীরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অনানুষ্ঠানিক সভাশেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বললেন, ‘একে তো নিউজিল্যান্ড, এর মধ্যে এত শর্ত। এই কন্ডিশনে ওদের খেলাটা কঠিন। ছেলেরা মানসিক ও শারীরিকভাবে খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। আমাদের কাজ হবে ওদের উদ্বুদ্ধ করা। তাও তো দুটি অনুশীলন ম্যাচ ছিল। একটা তো হবেই। আমরা চেষ্টা করছি আরেকটা রাখা যায় কি না। দলের প্রত্যেকের জন্য খুব খারাপ লাগছে। খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
গত ৮ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড সফরের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। গত বছর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করলেও এবার বিসিবির বিশেষ সুপারিশে ৭ দিনে নিয়ে কোয়ারেন্টাইমের অনুমিত দেয় নিউজিল্যান্ড স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বিমানে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে থাকায় টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেটার সহ ৯ জনকে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
তবে গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দলটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়ে অনুশীলন নামেন। কিন্তু এরপর আবার শুনতে হলো দুঃসংবাদ। আপাতত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবার বন্দি জীবন কাটাতে হবে তাদের। নিউজিল্যান্ডে টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ের পর দেশে ফিরেই বিপিএলের সুরক্ষা বলয়ে, এরপর ধরতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বিমান। বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না খেলোয়াড়রা।
পাপন বলছিলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। টানা কোয়ারেন্টাইনে আছে। সূচি অনুযায়ী যেদিন আসার কথা সেদিন আসলেও, তার ৪-৫ দিন পর বিপিএলের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে হতো। আমরা চাচ্ছিলাম ২০ জানুয়ারি থেকে বিপিএল শুরু করব। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চাচ্ছে ওদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ওদের কোচিং স্টাফের অধীনে অনুশীলন করবে।’
সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘যেদিন বিপিএল শেষ হওয়ার কথা সেদিন আবার আফগানিস্তান আসবে বাংলাদেশে। মানে আবার জৈব সুরক্ষা বলয়। এই সিরিজ শেষ করার ৪-৫ দিন পরই উড়াল দিতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এই জিনিস ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চলবে। কোনো বিরতিই দেওয়া যাচ্ছে না। মানসিক ও শারীরিকভাবে তারা একেবারেই ক্লান্ত।’