চলতি মাসেই মাঠে গড়াবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) আসন্ন মৌসুম। স্থগিত থাকা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) নিয়ে আলোচনা চললেও নির্দিষ্ট দিন চূড়ান্ত হয়নি। আজ রোববার জানানো হয়েছে, আগামী ৬ মে মাঠে গড়াবে লিস্ট এ ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্ট।
ডিপিএলের দলগুলো নিয়ে রোববার মিরপুরে এক বৈঠকের আয়োজন করেছিল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। এই বৈঠক শেষে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এবার ওয়ানডে ফরম্যাটে নয়, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হবে স্থগিত থাকা টুর্নামেন্ট। এবারের ডিপিএল হবে ৩ উইন্ডোতে। যেখানে প্রথম উইন্ডো আগামী ৬ থেকে ১১ মে।
গত বছরের মার্চে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক মাথায় নিয়ে বেশ ঘটা করে শুরু হয় ডিপিএল ২০১৯-২০ মৌসুমের খেলা। তবে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৫ তারিখ শুরু হয়ে এক রাইন্ড পরেই স্থগিত হয়ে যায় টুর্নামেন্টটি। এরপর করোনার প্রকোপ কমলে খেলোয়াড়দের বড় একটি অংশ থেকে বোর্ডের কাছে দাবি জানানো হয়, দ্রুত এই টুর্নামেন্ট মাঠে ফেরানো জন্য। যেহেতু ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্ট খেলেই সারাবছরের রুটিরুজির জোগান দেন অনেক ক্রিকেটার।
তবে বিসিবি থেকে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের টিকা আসলে তবেই এই টুর্নামেন্ট ফেরানো হবে। জানা গেছে, আসন্ন এনসিএল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ক্রিকেটারদের টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে ক্রিকেট বোর্ড। ফলে এনসিএলের পর আগামী ৬ মে মাঠে গড়াবে স্থগিত থাকা ডিপিএল।
কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘গত বছর একটি ম্যাচ হয়ে ডিপিএল আমরা নিয়মিত করতে পারিনি। আমরা এটাকে আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সেটা ডেট আমরা যে উইন্ডোটা পাচ্ছি মে মাসের ৬ তারিখ। খুবই কঠিন পরিস্থিতি। কারণ আমাদের হাতে খুবই অল্প সময় আছে কারণ দুইটা উইন্ডোতে ৬ দিন এবং আপাতত ১৫ দিন পেয়েছি হয়তো বা আরো ৩ দিন (তৃতীয় উইন্ডো) যোগ করা যাবে। আমাদের এই বারের এই লিগটাকে আমরা যেটা করছি এটাকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে করতে হবে ‘
কাজী ইনাম আরও যো করেন, ‘ভেন্যুগুলো আমাদের যা আছে, মিরপুর স্টেডিয়াম এবং বিকেএসপির ৩ আর ৪ নম্বর স্টেডিয়াম। সেখানে ব্যাসিকালি প্রতিদিন ৬ টা করে ম্যাচ হবে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, সেহেতু প্রতি মাঠে প্রতিদিন দুটো করে ম্যাচ হবে।’