সিরিজে পরিস্কার ফেভারিট ছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। মাঠের লড়াইয়েও তার ছাপ স্পষ্ট। স্বাগতিকদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি সফরকারী আয়ারল্যান্ড উলভস দল। সফরকারীদের বিপক্ষে সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করেছিল সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়রা। আজ রোববার আইরিশদের ৬ রানে হারিয়ে ৪-০তে সিরিজ হারের স্বাদ দিল স্বাগতিকরা।
করোনার কারণে দুই দলের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। পরের ৩ ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে স্বাগতিকরা। সেখানে মাহমুদুল হাসান জয়ের শতকের ওপর ভর করে আয়ারল্যান্ড উলভসের সামনে ২৬১ রানে লক্ষ্য ছুড়ে দেয় স্বাগতিকরা। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে ২৫৪ রানে থামে সফরকারীদের ইনিংস।
এদিন টার্গেট টপকাতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি জেরেমি লওলর। রানের খাতা খোলার আগেই তাকে সাজঘরের পথ দেখান পেসার শফিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটে লড়াই জমিয়ে তোলেন দুই ব্যাটসম্যান স্টিফেন ডোহেনি ও মার্ক অ্যাডায়ার। স্বাগতিক বোলারদের শাসন করে ৯৭ রানের জুটি গড়েন দুজন। তখন অবশ্য মনে হচ্ছিল, সফরের প্রথম জয়টি পেতে চলেছে আইরিশরা।
৪৫ রানে থাকা অ্যাডায়ারকে আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান অধিনায়ক সাইফ হাসান। এরপর ডোহেনি একপ্রান্ত আগলে রাখলেও বাকিরা সুবিধা করতে পারেননি। উইকেটে সেট হয়েও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি তারা। ম্যাচ হেরে এর খেসারত দিতে হয় গোটা দলকে। দলীয় ১৬৬ রানের সময় ডোহেনি ৮১ রান করে আউট হলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
শেষ ৩ ওভারে ম্যাচ জয়ের জন্য আইরিশদের প্রয়োজন পড়ে ২৪ রান। তবে রাজা-শফিকুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে ১৮ রানের বেশি নিতে পারেনি সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ড উলভসের জয়ের জন্য ১২ রান দরকার পড়লে মাত্র ৫ রান দেন রাজা। এতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রানে থামে আইরিশদের ইনিংস। ৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। স্বাগতিকদের হয়ে সাইফ ৩টি, শফিকুল ও তানভীর ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচের একাদশে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাইফ, আউট হন ৩ রান করে। আরেক ওপেনার ইমন করেন ৪১ রান। ৩১ বলের ইনিংসটি ৮টি বাউন্ডারির মারে সাজান ইমন। ইমনের আউটের পর একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়। তবে তৌহিদ হৃদয় (২০), শাহাদাত হোসেন দিপু (১৩), শামীম পাটোয়ারিরা (১১) যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
এরই এক ফাঁকে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন জয়। পরে অবশ্য শুধু ফিফটিতে তৃপ্ত থাকেননি তিনি। লিস্ট এ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি তুলে নেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরে থামেন ১২৩ রানে। ১৩৫ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা হাকান জয়। পরে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬০ রান।
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ২৬০/১০, ৪৯.৪ ওভার (জয় ১২৩, আনিসুল ৪১, অঙ্কন ৩৩, অ্যাডায়ার ৩/২৭)
আয়ারল্যান্ড উলভস: ২৫৪/৯, ৫০ ওভার (দোহানি ৮১, অ্যাডায়ার ৪৫, রক ৩৫, সাইফ ৩/৩১, তানভির ২/৩৯)
ফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৬ রানে জয়ী।