‘দুঃসংবাদ নাকি বাতাসের আগে চলে।’ আর বাংলাদেশের ক্রিকেটে গুজব বাতাসের চেয়েও ধেয়ে চলে। আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ খবর, জিম্বাবুয়ে থেকে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলে দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটারের অবস্থার নাকি বিশেষ অবনতি ঘটেছে এবং নতুন করে আরও এক নারী ক্রিকেটার আক্রান্ত হয়েছেন।
এ খবর ক্রিকেটপাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তবে কী ওই দুই নারী ক্রিকেটারের অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটেছে? অথচ দুদিন আগেও বিসিবি সভাপতি স্বয়ং জানিয়েছেন, ‘কোনো রকম সমস্যা নেই। আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটারের কোনো ধরনের লক্ষ্মণও নেই। ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটার ভালোর পথে।’ হঠাৎ একদিনে কী এমন হলো যে তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হলো?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দুই নারী ক্রিকেটারের কোনোরকম শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেনি। তাদের হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ থেকে আজই মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেটা শুধু আইসোলেশনে রাখার জন্যই পাঠানো হয়েছে।
কেন, কী কারণে তাদের হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ থেকে মুগদা হাসপাতালে পাঠানো হলো? সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, ‘সেটা কোনো মেডিকেল গ্রাউন্ড কিংবা ওই আক্রান্তদের শারীরিক সমস্যার কারণে নয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এখন ৩০০‘র বেশি ভিনদেশি ভিভিআইপি অতিথি এসেছেন এবং আসবেন।’
মূলত বিজয় দিবস উপলক্ষে বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের আবাসন ও অবস্থান নিশ্চিত করতেই নারী ক্রিকেট দলের ওই তিন সদস্যকে আপাতত মুগদা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আর দলের বাকি ক্রিকেটাররা আছেন মিরপুর নারী ক্রিকেট দলের হোস্টেলে। আবাসন সংকটের কারণেই বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের মুগদা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বিসিবির ওমেন ক্রিকেট উইং থেকে মঙ্গলবার রাতে নিশ্চিত করা হয়েছে, ‘আক্রান্তদের কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। যার নতুন করে করোনা হয়েছে বলা হচ্ছে, তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত নন। তার কোভিডের ধরন হচ্ছে- ডেল্টা।’