সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় ইংল্যান্ডে বেশি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন।
মহামারিবিদ জন অ্যাডমন্ডস হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, ক্রিসমাসের মধ্যেই দিনে ৬০ হাজার জন করে ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে। একইসঙ্গে তিনি ওমিক্রনকে একটি খুবই গুরুতর ধাক্কা বলে অভিহিত করেছেন এবং জনসংখ্যাকে যত দ্রুত সম্ভব বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতি তিনদিনে যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের হার দ্বিগুন হচ্ছে। তার মানে যুক্তরাজ্যে করোনার ডেল্টা ধরন ছড়ানোর গতির চেয়েও দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। ওমিক্রন ছড়ানোর এই উচ্চ গতি মূল ভাইরাসের গতির সাথে তুলনীয়। ২০২০ সালের প্রথম দিকে যখন আমাদের কোনো প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল না তখন এই গতিতেই ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস। যুক্তরাজ্যে এখন প্রতি তিন দিনেই যদি ওমিক্রন সংক্রমণ দ্বিগুন হয়ে থাকে তাহলে এই মাসের শেষ নাগাদ তা দিনে ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
জাপানের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আগের ডেল্টা ধরনের চেয়ে ৪.২ গুণ বেশি দ্রুত গতিতে ছড়ায়। একই দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওমিক্রন ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৫৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নভেম্বর মাসের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঘটে।