ভেতরে বিএনপির মানবাধিকার সেমিনারকে কেন্দ্র করে বাইরে প্রতিবাদী মানববন্ধন করছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশান লেকশোর হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
সেমিনারে বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার ও মিশন প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই হোটেলের সামনের সড়কে একদল মানুষ বিভিন্ন দাবি দাওয়া সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করছেন। জানা গেছে, যারা মানববন্ধন করছেন তারা গুলশান, বনানীর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের সঙ্গে আছেন ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকারদের পরিবারের সদস্যরা।
তারা বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জেনারেল জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্রে তথাকথিত সামরিক অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। সেই কথিত বিদ্রোহ দমনের নামে অন্যায়ভাবে প্রায় এক হাজার ৪০০ সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে ফাঁসি, ফায়ারিং স্কোয়াড ও টর্চারিং সেলে হত্যা করা হয়। প্রায় তিন হাজার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন মেয়াদে ১০ থেকে ২০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। প্রায় চার হাজার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। জিয়া যাদের ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করেছেন তারা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
আরও বলেন, আজ সেই ঠাণ্ডা মাথার খুনি জেনারেল জিয়াউর রহমানের দল মানবাধিকার নিয়ে বিভিন্ন মহলে অনেক কথা বলছে। এ কারণে আমরা খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার চাই।
আওয়ামী লীগের মানববন্ধন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা সেমিনারে বিভিন্ন দেশের অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এরই মধ্যে তাদের এই আচরণ প্রমাণ করে দেশে কতটুকু মানবাধিকার বিরাজমান।