বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদুল বারীর ছোট ভাইকে অপহরণ চেষ্টায় ছয়জনকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের পন্ডিতপুকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন-বগুড়া শহরের চেলোপাড়ার আকাশ (২৫), সোহাগ (১৮), শাহিনুর (৪০), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাতিজা নন্দীগ্রাম উপজেলার পাইকড় কুড়ি গ্রামের কাব্য (২০) তার বড় ভাই শুভ (২৮) ও বৃকুঞ্চি গ্রামের হামিদুল (৪৫)।
জানা গেছে, ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান মাফু (৪০) শুক্রবার স্থানীয় পন্ডিতপুকুর বাজারে টাইগার ক্লাবের সামনে বসে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১০-১২ যুবক সেখানে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মাহফুজারের বড় ভাই মোরশেদুল বারীকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে ওই যুবকরা মাহফুজার রহমানকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় বাজারে লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদেরকে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ দেয়।
নৌকা মার্কার প্রার্থী মোরশেদুল বারী বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহেল বাকী কয়েকদিন ধরে আমাকে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছিল। তারই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে অপহরণ করতে আসে। আমাকে না পেয়ে আমার ছোট ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বা তার ভাইকে অপরণ চেষ্টা বা হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। বরং তারাই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমার ভাতিজাদের পথরোধ করে মারপিট করা হয়েছে। অপহরণ চেষ্টার ঘটনা তাদের সাজানো নাটক।
নন্দীগ্রাম উপজেলার কুমিড়া পন্ডিত পুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হরিদাস মন্ডল বলেন, স্থানীয়দের হাতে আটক ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।