বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব (অনূর্ধ্ব-১৭) গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে রংপুর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (অনূর্ধ্ব-১৭) বিভাগে সিলেট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে । বৃহস্পতিবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে রাজশাহীকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় সিলেট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভর্চুয়ালি উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন । নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সিলেটের অনিক দেব মারমা। অন্যদিকে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে ময়মনসিংহকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুরের মেয়েরা। পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলে মেয়েদের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রংপুরের নাসরিন আক্তার।
প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘সরকার খেলোয়াড়দের যথাযথ প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করবে। ইতোমধ্যে আরো দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়ে গেছে বাকীগুলোও আমরা করে দেব। যাতে করে সেখানে খেলাধূলার বিষয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভাল প্রশিক্ষণ নিতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমরা করে দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অসুস্থ ও অস্বচ্ছল ক্রীড়াসেবীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে করোনার মধ্যেও ১০ কোটি টাকার সীডমানি প্রদান করেছি এবং অচিরেই ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে আরও ২০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। আমরা চাই ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলসহ অন্যসব ক্রীড়াক্ষেত্রেও আমাদের ছেলেমেয়েরা ভালো করুক। অন্য ইভেন্টগুলোতেও বাংলাদেশ যেন অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে- সেজন্য আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ক্রীড়া উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা চলমান থাকবে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, এ আয়োজন ক্ষুদে ফুটবলারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। আয়োজনটিতে করোনাকালীন সময়েও উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে সর্বমোট ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫৫২ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছে।
এ টুর্নামেন্টসমূহ থেকে প্রতিভাবান ৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা খেলোয়াড়দের নিয়ে বিকেএসপিতে ৩ মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হবে এবং তাদের মধ্য হতে সেরা ১১ জন বালক খেলোয়াড়কে ব্রাজিলে এবং সেরা ১১ জন বালিকা খেলোয়াড়কে ইউরোপে ১ মাসের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে। সরকার ইতোপূর্বেও এই টুর্নামেন্টের সেরা ৪ জন খেলোয়াড়কে ২০১৯ সালে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী গামা ক্লাবে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে এবং ৪২ জন খেলোয়াড়কে বিকেএসপিতে তিন মাস মেয়াদি উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
চ্যাম্পিয়ন দল দুটি ৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণ পদক এবং রানারআপ ২ লাখ টাকা ও রৌপ্য পদক অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত তাবারেজা , ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।