প্যানডোরা পেপারস প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডিটেইলসে আপডেট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রথমে ৪৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা আসে। সে তালিকা হাইকোর্টে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যা আসবে, সেটাও পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি, ন্যায় বিচার পাব। আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেব।
৮ নভেম্বর বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্যানডোরা পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের সম্পর্কে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্ট ডিভিশনে তথ্য জমা দিয়েছে। এখন বিষয়টি হাইকোর্টের এখতিয়ারে আছে। মামলাটি চলমান আছে। এ সময়ে বিষয়টি নিয়ে আমার মতামত দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়- প্যানডোরা পেপারসে দেশের চারজন ব্যবসায়ীর নাম এসেছে। তাদের মধ্যে একজন খ্যাতিমান ব্যবসায়ীও রয়েছে, এতে কি আপনি আশ্চার্য হয়েছেন? জবাবে মন্ত্রী বলেন, যাদের নাম এসেছে, দুদক তাদের নামের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। বিষয়টি হাইকোর্টের এখতিয়ারে। মামলাটি চলমান। এ বিষয়ে আমার মতামত দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। যেহেতু বিষয়টি একটি মামলার আওতায় চলে গেছে এবং এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আমার মতামত না দেওয়াই উত্তম হবে।
তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো পত্রিকায় যেভাবে আসছে, সেগুলো আরও অনুসন্ধান করে দুদক যদি মনে করে হাইকোর্টে যাওয়া দরকার, বিচার শুরু করার জন্য সে কাজটি তারা করে যাচ্ছেন। আমি মতামত দিলে তাদের কাজে লাগবে না। তাই আমি মতামত দেবো না। আপনারা অপেক্ষা করুন।
সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ৫০ বছরের অর্জন নিয়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতিবিদসহ সবাই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। দেশকে তারা বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন। স্বাধীনতার পর প্রথম ৩৮ বছরে আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছি। আজকে সেটা চারগুণ বেড়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলার অ্যাভারেজ জিডিপির আয়তন।
তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির সর্বক্ষেত্রে ও সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ ভালো কাজ করেছি। অর্থনীতির সঙ্গে সামাজিক অর্থনীতির যে ইনডেক্সগুলো আছে, সেগুলোও অনেক ভালো আছে। আজকে সেন্টাল ইকোনমিক বিজনেস রিসার্স যুক্তরাজ্য থেকে যেটা পাবলিশ করে, সেখানে সর্বশেষ প্রতিবেদনে তারা বলেছেন, ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্থনীতির এলাকায় আমরা ২৫তম স্থানে উঠতে পারবো। ২০৪১ সালের যে স্বপ্ন বিশ্বের শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে আমরা একটি হবো।