তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি । ৬ ডিসেম্বর সোমবার রাতে তাকে পদত্যাগের এ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছেও বলে জানিয়েছেন তিনি। কাদের জানান, আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। পেশায় চিকিৎসক এ রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ। তবে এসব মন্তব্য করেননি বলে দাবি তার। নারী অধিকার কর্মীদের পাশাপাশি সরকারদলীয় প্রভাবশালী অনেক নেতাও বলছেন, প্রতিমন্ত্রী মুরাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
রোববার দিবাগত রাত থেকে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের নামে কল রেকর্ডের একটি অডিও ভিডিও আকারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি । ৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের অডিওতে একজন নারীর নামও এসেছে। শোনা যাচ্ছে, ওই নারী ঢাকাই সিনেমার একজন নায়িকা। তবে অডিওতে থাকা নারীকণ্ঠ ওই নায়িকার কি না, সে সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে পারেনি। অডিওতে ওই পুরুষকে (যাকে মুরাদ হাসান বলা হচ্ছে) অশ্লীল নানা কথা বলতে শোনা যায়। এ কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।