বাবা এটমিক রিসার্চ সেন্টারের টেকনোক্রাট হিসেবে অবসর নিয়েছেন বছর বাহাত্তরের রামগোপাল আগারওয়াল। অর্থনীতির আধাপিকা তাঁর স্ত্রী শশী আগারওয়ালও অবসরের জীবন কাটাচ্ছেন। দুদিন আগে রাতে একটি ভিডিও কল তাঁদের জীবনে হাজার আলোর রোশনি আনে। আমেরিকা থেকে ভিডিও কলে পুত্র পরাগ আগরওয়াল জানায়- আমি টুইটারের সিইও হয়েছি। পরাগের কণ্ঠে খুশির ঝলক।
এই খুশি তার মাইনে ১০ লক্ষ ডলার হল বলে নয়, বাবা রামগোপাল আগরোয়ালের মতে- ছোটবেলার স্বপ্ন পূর্ণ হওয়ার আনন্দ। পরাগ ছোট বেলা থেকেই কম্পিউটার নিয়ে মেতে থাকতো। আর সবসময়ের সঙ্গী ছিল বই। গর্বিত মা সংযোজন করলেন, আর গাড়ি নিয়ে ওর ছিল উন্মাদনা। এটমিক এনার্জি স্কুল থেকে পাস করার পর এটমিক এনার্জি কলেজ। সেখান থেকে মুম্বাই আই আই টি।
পরাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখনও মনে করতে পারেন সেই ফ্রন্ট বেঞ্চর ছাত্রটিকে। মা শশী পরাগের স্ত্রী বিনীতার অবদান অস্বীকার করলেন না, বললেন- অমন স্ত্রী না পেলে টুইটার তাদের সিইওকে পেতো না। ২০২০র মার্চে, পান্ডেমিকের আগে পরাগ শেষবার ভারতে এসেছিলো। টুইটার এর সিইও এবার এলে তাকে তার প্রাণের প্রিয় মার হাতে তৈরি ধোকলা খাওয়াতে ভুলবেন না শশী আগারওয়াল।