ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতায় নভেম্বর মাসে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফোরাম (এমএসএফ)। নভেম্বর মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এমএসএফ জানায় ১১টি জাতীয় গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যানুসন্ধান করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৯৮টি। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৭ জন।আহত হয়েছেন ৫০০ এর বেশি মানুষ। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭৮ জন। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। এদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনী সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে নরসিংদী জেলায়। এ জেলায় নিহতের সংখ্যা ১১ জন। নীলফামারীতে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ছয়টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এই সময়ে ১৩৯ জন নারী ও ১৩৮ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিনটি ধাপে ভোটের আগে ও ভোটের দিন গোলযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এবার। তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা ও প্রাণহানি তুলনামূলক কম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। তবে লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।