স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে । ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ওমিক্রন ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি গণজমায়েত না করতে অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনার প্রকোপ কমায় যে ঢিলেঢালাভাব চলে এসেছে তা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া হবে।
দুই ডোজের টিকা নিয়েছেন এমন অনেকেরই ছয় মাস পেরিয়েছে, যাদের শরীরের অ্যান্টিবডি অনেকটাই কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন নতুন ধরনও দেশে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে। এই অবস্থায় বয়স্ক ও কোমরবিডিটিতে আক্রান্ত রোগীদের সংক্রমণ ঠেকাতে বুস্টার ডোজ প্রয়োগে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে আলাপকালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছিলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। যারা একদম টিকা পায়নি তাদের এই মুহূর্তে টিকার আওতায় আনা জরুরি। নির্দিষ্ট সবাইকে টিকা দেওয়ার পর আরও উন্নত সংস্করণের টিকা আসবে, তখন বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আমরা দেখি যে অনেকেরই কোমরবিডিটি কন্ডিশন থাকে, এছাড়াও বয়স্কদের ক্ষেত্রে যাদের চিকিৎসকের বুস্টার ডোজের ব্যাপারে সুপারিশ থাকে, তাদেরকে দেওয়া যেতে পারে। কোনো একজন লোকের দেখা গেলো যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কমে গেছে, এক কথায় তার ক্লিনিক্যাল কন্ডিশনের কারণে যদি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হয়, শুধুমাত্র তাদেরই দেওয়া যেতে পারে। কারণ করোনায় তাদের মৃত্যু হার অনেক বেশি। যে কারণে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় ঝুঁকিও তাদের বেশি।
পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, বুস্টার ডোজের ব্যাপারে এখন যেসব কথাবার্তা আসছে এবং যেসব দেশ শুরু করেছে, তারা শুধুমাত্র বয়স্ক ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের বিষয়ে বলছে। সুতরাং আমাদের দেশেও বয়স্ক-রোগাক্রান্তদের বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুধু বয়স্কদের দিতে বলেছে, আমেরিকার কিছু জায়গায় বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।