ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রামের সরকারি- বেসরকারি প্রায় লক্ষাধিক স্থাপনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হলে বন্দরনগরীতে বিপুল প্রানহাণিই নয়, বড় ধরণের বিপর্যয় তৈরি হবে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ভবনের তালিকা করলেও তা ভাঙার উদ্যোগ নেই সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। গেলো শুক্র (২৬ নভেম্বর) এবং শনিবার (২৭ নভেম্বর) ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে চট্টগ্রামে। ২টি ভবন আংশিক হেলে পড়ার পাশাপাশি, ফাটল দেখা দেয় ছোট বড় কিছু স্থাপনায়। বারবার এমন ভূমিকম্পে অজানা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বন্দরনগরীর বাসিন্দাদের মধ্যে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট ছোট ভূকম্পন বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস। এ ছাড়া ভৌগলিক অবস্থানের কারনেও চট্টগ্রামে ঝুঁকি বেশি। অপরিকল্পিত নগরায়নের কারনে বন্দরনগরীতে দেড় লাখের কাছাকাছি বহুতল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের। ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবনের তালিকা সিটি কর্পোরেশনকে দেয়ার কথা জানিয়ে সিডিএ বলছে, ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্বও তাদের। চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩৩টি স্কুলের মধ্যে ৭৪০টি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে বলে উঠে এসেছে চুয়েটের এক জরিপে।