নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতেই গ্রেফতার হতে যাচ্ছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে বিভিন্ন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো বলছে, রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে কাদের মির্জাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
বর্তমানে কাদের মির্জা পৌরসভায় অবস্থান করছেন। কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রেফতারের বার্তা পেয়ে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছেন তিনি।
মূলত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি কাদের মির্জার নেতৃত্বে অন্য আসামিরা পিস্তল, শর্টগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড নিয়ে অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালান। এ সময় মামলার চার নম্বর আসামি নাজিম উদ্দিন বাদল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলাউদ্দিনের পেটে গুলি করে।
সমর্থিতদের মধ্যে যাদের নামে মামলা রয়েছে বা এ ঘটনায় সম্ভাব্য যাদের নামে মামলা হতে পারে তারা নিরাপদ দূরত্বে সরে গেছেন। হাতে গোনা কয়েকজন সমর্থক পৌরসভায় অবস্থান করছেন। সরেজমিনে পৌরসভা, রুপালী চত্বর ও শূন্য পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে, বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।