নোয়াখালীর বসুরহাটে সংগঠিত সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১০ মার্চ) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, কোম্পানীগঞ্জে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।
বেশ কিছুদিন ধরে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকায় জনজীবন অস্থিরতা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আব্দুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং প্রায় ৫০ জন গুলিবিদ্ধ হন। এর আগে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারান সাংবাদিক মুজাক্কির।
এ ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন সমানভাবে প্রযোজ্য। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে কারো অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
জিয়াউর রহমান ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার এ বক্তব্য স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির শামিল। এ ধরনের মিথ্যাচার বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা আর ঘোষণা পাঠ করা এক কথা নয়। পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পাঠকারীদের মধ্যে জিয়াউর রহমান একজন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানকে দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক বলেও মন্তব্য করেন।