নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে না কমলে আমরা কমাব কীভাবে? বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে নবনিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের অধীনে যে কয়টি পণ্য আছে যেমন, তেল, চিনি, পেঁয়াজ ও ডাল-এগুলো সবই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনতে হয়। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনে আনতে যে দাম পড়ে, তার ওপর পর্যালোচনা করে আমরা একটা দাম নির্ধারণ করে দিই। আন্তর্জাতিক বাজারে যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না কমে তাহলে আমরা কমাব কেমন করে?
আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, চিনি ও ডালের দাম কমলে আমাদের দেশে কমানো সম্ভব। তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে আমরাও কমিয়ে দেবো।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শুনেছি যে তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমার একটা প্রবণতা দেখা দিয়েছে। যদি কমতে থাকে তাহলে নতুন দাম অনুসারে আবার দাম নির্ধারণ করব। কিন্তু সেটার প্রভাব পড়তে একটু সময় লাগবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে আমাদের দেশেও কমে যাবে।
ভ্যাট কমানোর বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেঁয়াজ, চিনির ওপর ভ্যাট কমানো হয়েছে। তেলে এখনও কমেনি। তেলে অন্য কোনো কিছু নেই। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছিল, সেটার জন্যও বলেছি, দেখা যাক। যদি কমায় তাহলে একটু সুবিধা হতো, সাধারণ মানুষের সাশ্রয় হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের রাজস্বও দরকার আছে। কোথাও-তো ব্যালেন্স করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-পণ্যের ওপর থেকে আপাতত ৩-৪ মাসের জন্য ভ্যাট কমালে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। তারপরও দেখা যাক কী হয়।