ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের শিক্ষামেলায় অংশ নিতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার রাজধানী কুয়ালালামপুরের এশিয়া প্যাসেফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামেলায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৩শে নভেম্বর, রোজ ভিউ হোটেল, সিলেট, ২৫শে নভেম্বর ওয়েলপার্ক হোটেল, চট্টগ্রাম ও ২৭শে নভেম্বর ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মালয়েশিয়া ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ইউকে ও কানাডার বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরিপূর্ণ তথ্য নিয়ে এ শিক্ষা মেলার আয়োজন করেছে এনএসএস সল্যুশন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মেলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। এনএসএসর হেড অব মার্কেটিং সবুজ হোসেন বলেন, দেশের খরচে বিদেশে মানসম্মত পড়াশোনার সুযোগ তৈরি হবে এ শিক্ষা মেলার মাধ্যমে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান সম্পর্কেও একটা ধারণা পাবে। তিন শহরে তিন দিনব্যাপী এ শিক্ষামেলায় বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে স্পট অ্যাডমিশন নিলেই উপহার হিসাবে ল্যাপটপ রাখা হয়েছে। মেলায় থাকছে আইএলটিএস ছাড়া তাৎক্ষণিক ভর্তির সুযোগ, রয়েছে স্কলারশিপও।
এছাড়া শিক্ষা মেলায় আরো থাকছে বিনামূল্যে প্রবেশের সুবিধা, ডকুমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট, টিউশন ফিসহ অন্যান্য খরচের ধারণা, বিদেশে পড়াশোনাকালীন বসবাসের জন্য কেমন খরচাদি হবে তার ধারণা, পার্টটাইম জব করা যাবে কি না সে সম্পর্কে তথ্য, স্কলারশিপের উপর বিস্তারিত আলোচনা, পড়াশোনা শেষে পিআর বা স্থায়ী বসবাস সম্পর্কে তথ্যাদি এবং সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ।
সংবাদ সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি তেনেগা ন্যাশনাল, ইউনিভার্সিটি টেকনিকাল মালাক্কা, মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব সাইবারজায়াসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশি। প্রতি বছর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পড়াশুনার উদ্দেশ্যে আসে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে লকডাউনের মাঝে প্রায় দুই বছর নতুন করে বিদেশি শিক্ষার্থী আসতে পারেনি। মূলত এ শুন্যতা পুষিয়ে নিতে সহজ শর্তে মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।