সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে থাইল্যান্ড। শ্রম বাজারে শ্রমিক ঘাটতি চরম আকার ধারণ করায় প্রতিবেশি মিয়ানমার, কম্বোডিয়া এবং লাওসের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মহামারির লাগাম টানতে এশিয়ার এই দেশটির সীমান্ত এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। যে কারণে রফতানি এবং পর্যটন-নির্ভর অর্থনীতির এই দেশটি বর্তমানে প্রচণ্ড শ্রমিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এই সংকটের লাগাম টানতে সীমান্ত খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ওই কর্মকর্তা।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পাইরোতি চোতিকাসাথিয়েন বলেছেন, অভিবাসী কর্মীদের টিকাগ্রহণ, কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধি-বিধানের বিষয়ে বুধবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
থাইল্যান্ডের খাদ্য ও রাবার উৎপাদনের মতো অন্যান্য প্রধান রফতানি শিল্পখাত অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং কোয়ারেন্টাইন বিধি-নিষেধের কারণে দেশটিতে কার্যত সব ধরনের শ্রমিক অভিবাসন বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে দেশটিতে আরও ৪ লাখ ২০ হাজার বিদেশি শ্রমিক প্রয়োজন বলে ধারণা করছেন পাইরোতি। দেশটির নির্মাণ, উত্পাদন এবং সামুদ্রিক খাবার শিল্পে বেশিরভাগ শ্রমিকের চাহিদা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকার ধারণ করলে অনেক শ্রমিক থাইল্যান্ড ছেড়ে নিজ দেশে চলে যান এবং এই শ্রমিকরা এখনও দেশটিতে ফিরে আসেননি। তবে দেশটিতে থাকা কিছু শ্রমিককে কারখানা ও নির্মাণ কোয়ারেন্টাইন প্রকল্পে জৈব নিরাপত্তা বলয়ের নিয়ম মেনে রাখা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে করোনাভাইরাস মহামারিতে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৭৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। গত এপ্রিলে দেশটির একটি নির্মাণ শিবিরে বিদেশি শ্রমিকদের শরীরে করোনার অতি-সংক্রামক ধরন ডেল্টা শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতদের বেশিরভাগই ডেল্টার সংস্পর্শে এসেছিলেন।