পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, রাত পোহালেই বাংলাদেশের আয় বাড়ছে, আমরা টেরই পাচ্ছি না। আমরা অজান্তেই বড়লোক হয়ে যাচ্ছি।রোববার সুনামগঞ্জ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়েছি, আমাদের ক্ষতি (লস) হয়েছে। কিন্তু আমরা পুষিয়ে নেব। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যদিও সরকারিভাবে এটা আমি প্রকাশ করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পর তার সঙ্গে কথা বলে, তার অনুমতি নিয়ে এটা আমরা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলে দেব। কারণ, এটা ভালো কাজ।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পাহাড়, হাওড়, ভাটি, উপকূল, চরাঞ্চলসহ সব এলাকার উন্নয়নে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেকোনো প্রকল্প নিয়ে গেলে তিনি দেখেন এতে মানুষের কী উপকার হবে; নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবে কি না। তিনি চান প্রকল্প হবে জনকল্যাণে। সভায় দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি পরিকল্পনামন্ত্রী সুনামগঞ্জের উন্নয়নে তার তিনটি বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানান। সেগুলো হলো- হাওড়ের উড়ালসড়ক নির্মাণ, সুনামগঞ্জ শহর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ এবং সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়ে গেছে, এটা হবেই। মাঝখানে স্থান নিয়ে কিছুটা মতভিন্নতা ছিল, সেটাও সমাধান হয়েছে। শহরে রেললাইনও আসবে। তবে কোন দিকে আসবে, সেটা ঠিক করবে কারিগরি কমিটি। রেললাইন সুনামগঞ্জ হয়ে নেত্রকোনা-মনসিংহে যাবে। এই সরকারের সময়েই এই প্রকল্প অনুমোদন হবে। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সিভিল সার্জন মো. শামস উদ্দিন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল হক প্রমুখ। সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা করেন। এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন হওয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ উদ্বোধন করেন।