ইউরোপ আবারও মহামারির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ইউরোপীয় প্রধান হ্যান্স ক্লুজ বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ মহাদেশটিতে আরও পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এর জন্য টিকাদানে ধীরগতিকে দায়ী করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেন, আজ ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার প্রতিটি দেশই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির হুমকিতে পড়েছে অথবা এরই মধ্যে এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ অঞ্চলের ৫৩টি দেশেই করোনা সংক্রমণের গতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া থেকে শুরু করে সেটি প্রতিরোধে আমাদের অবশ্যই কৌশল পরিবর্তন করতে হবে।
গত কয়েক মাসে ইউরোপে টিকাদানের গতি অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। স্পেনে এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেলেও জার্মানিতে এর হার ৬৬ শতাংশের মতো। পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে পূর্ণডোজ টিকাদানের হার আরও কম। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রাশিয়ার মাত্র ৩২ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি টিকার আওতায় এসেছে।
এগুলোর পাশাপাশি ইউরোপে জনস্বাস্থ্য বিধি শিথিলেরও সমালোচনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান। তাদের হিসাবে, এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৪ লাখের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এদিন ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কারখোভ জানান, গত চার সপ্তাহে ইউরোপে নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। তার সহকর্মী মাইক রায়ান বলেছেন, ইউরোপের এই পরিস্থিতি গোটা বিশ্বের জন্যই সতর্কবার্তা।
জার্মানিতে নতুন করে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বোচ্চ রেকর্ড। আরও ভয়াবহ অবস্থা রাশিয়াতে। সেখানে গত এক সপ্তাহে ৮ হাজার ১০০ জনের বেশি করোনায় মারা গেছেন, ইউক্রেনে এর সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০। উভয় দেশই টিকাদানের হারে বেশ পিছিয়ে রয়েছে।