২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে স্বাভাবিক প্রসবে একসাথে ৫টি শিশুর জন্ম দিয়েছেন সাদিয়া খাতুন (২৪)নামের এক প্রসুতী মা। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একসাথে পাঁচ শিশুর জন্মদেয়া প্রসুতী সাদিয়া খাতুন সোমবার রাতে হাসপতালের গাইনী ওয়ার্ডে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আশরাফুল আলম।
পাঁচ শিশুর জন্ম দেয়া সাদিয়া খাতুন কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী। সদ্যজাত পাঁচ শিশুর মধ্যে একটি ছেলে ও চারটি মেয়ে শিশু রয়েছে বলে জানান স্ক্যানো ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকা আকলিমা খাতুন। তিন বছর পূর্বে বিবাহিত সাদিয়া এবারই প্রথম সন্তান জন্ম দিলেন বলে জানান শিশুদের বাবা সোহেল রানা। গর্ভ ধারনের পর মাত্র ৬মাসের মাথায়ই প্রসব বেদনা উঠায় হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বলে জানালেন সোহেল রানা।
অপুষ্ট ও স্বল্প ওজনের(৪৩০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৬০০গ্রাম পর্যন্ত) হাসপাতালের স্ক্যানো ওয়ার্ডে শিশু বিশেষায়িত পরিচর্যাধীণ এসব সদ্যজাত শিশুদের সুস্থ্যতা ও রিকভারি বিষয়ে চিকিৎসকরা খুব বেশী আশ^স্তের বানী শোনাতে পারছেন না। তবে এবিষয়ে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের (অবস্ এন্ড গাইনী ওয়ার্ড)এ দায়িত্বরত সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা: মোছা: জেসমিন সুলতানার সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান এবং হাসাপাতাল প্রধানের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশরাফুল আলম জানান, “মঙ্গলবার সকালে গাইনী ওয়ার্ডে সাদিয়া খাতুন নামে এক প্রসুতি স্বাভাবিক প্রসবে একসাথে ৫টি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তবে একদিকে গর্ভধারনের মাত্র ১৮০ দিনের মাথায় স্বল্প ওজনে ভুমিষ্ট শিশুগুলির শারিরিক পূর্ণতা আসেনি। মাত্র ৪৩০গ্রাম থেকে ৬শ গ্রামের মধ্যে শিশুগুলির ওজন। শিশুগুলি প্রকৃত অর্থে যে ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে এই স্তরের শিশুদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরিচর্যায় যে মানের সক্ষমতা থাকা দরকার তা আমাদের এখানে নেই। আমরা স্ক্যানো ওয়ার্ডে শিশু পরিচর্যায় বিদ্যমান যে সক্ষমতা আছে সেখানে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। প্রসুতি মা সাদিয়া খাতুন ঝুঁকিমুক্ত তবে শিশুগুলি প্রয়োজনীয় উন্নত চিকিৎসা পরিচর্যার জন্য ঢাকাতে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।”