কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধার আওতায় আসা বিলাসবহুল ১১০টি গাড়ি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (৩ নভেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৩-৪ নভেম্বর) এই গাড়িগুলো বিক্রি করা হবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, নিলাম থেকে কেউ গাড়ি কিনতে চাইলে টেন্ডার জমা দিতে হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও মোংলায় কাস্টমস অফিসে রাখা টেন্ডার বাক্সে টেন্ডার আবেদন খামবন্ধ অবস্থায় জমা দিতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কিংবা চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়েসবাইটে নিলাম সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো নিলামে তোলা হচ্ছে এসব গাড়ি। এর আগে, চারটি নিলামে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। পর্যটক সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক দশক আগে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পর্যটকরা। বন্দর দিয়ে আনার পর আটকে যায় সবক’টি গাড়ি। কারণ শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহাররোধে কড়াকড়ি আরোপ করে কাস্টমস। ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে খালাসের শর্ত আরোপ করার পরই খালাস না নিয়ে সটকে পড়েন পর্যটকরা।
নিলামে তোলা গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি হলো যুক্তরাজ্যের ল্যান্ড রোভার গাড়ি। এ ধরনের সাতটি গাড়ি আছে। ১১০টি গাড়ির অর্ধেকই মার্সিডিজ বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এসব গাড়ির অনেকগুলোর চাকা ও ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। এই গাড়িগুলো অখালাস অবস্থায় বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে। নিলামের তালিকায় নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএমডাব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস, মিৎসুবিসি প্রভৃতি।