প্রতিবছর প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বিদেশে যাচ্ছে পুনঃবিমা বা রিইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম বাবদ। অন্যদিকে শুধুমাত্র সরকারি একটি পুনঃবিমা কোম্পানি থাকায় প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিমা ব্যবসা ব্যহত হচ্ছে বলে জানান এই খাত সংশ্লিষ্টরা। রফতানি বা আমদানিকৃত সকল পণ্যের সুরক্ষায় বাধ্যতামূলকভাবে করতে হয় নৌ বিমা। একইভাবে কারখানাসহ ভবনের অগ্নি দুর্ঘটনা ঝুঁকি রোধে করা হয় অগ্নিবিমা। আছে বাস ট্রাকসহ যানবাহনের জন্য মোটর বিমা। সবমিলিয়ে অগ্নি-নৌ, মটর ও বিবিধ এই চার ধরনের বিমা করে নন লাইফ বা সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো। এসব বিমা গ্রহণের পর পুনঃবিমা করতে হয় সরকারি সাধারণ বিমা করপোরেশনের সাথে। বাকি অর্ধেকটা করতে হয় বিদেশি পুনঃবিমা কোম্পানির সাথে। ফলে বিদেশে প্রতিবছর চলে যাচ্ছে দেড় হাজার কোটি টাকার পুনঃবিমার প্রিমিয়াম।
দেশে বেসরকারি উদ্যোগে পুনঃবিমা কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে আইডিআরএ। এ বিষয়ে ৭৯টি জীবন বিমা ও সাধারণ বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তাদের চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন, বিআইএ। দেশীয় পুনঃবিমা কোম্পানি হলে, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল যেমন গড়ে উঠবে। তেমনি সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে বলেও জানান খাত সংশ্লিষ্টরা। পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের মুখপাত্র বি এম ইউসুফ আলী। বেসরকারি পুনঃবিমা কোম্পানির গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানায় বিআইএ।