গত ২৮ অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ‘মেঘদল’ ব্যান্ডের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ব্যান্ডটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ইমরুল হাসান নামের এক আইনজীবী। ৩১ অক্টোবর রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম মামলাটির তদন্তভার দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। তদন্ত শেষে আগামী ১ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- মেঘদলের ভোকাল শিবু কুমার শিল, মেজবা-উর রহমান সুমন, গিটারিস্ট ভোকাল রাশিদ শরীফ শোয়েব, বেজ গিটারিস্ট এম জি কিবারিয়া, ড্রামার আমজাদ হোসেন, কীবোর্ডিস্ট তানভীর দাউদ রনি ও বংশীবাদক সৌরভ সরকার।
মেঘদলের ‘ওম’ শীর্ষক গানে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিকে বিকৃতভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। মামলার বাদী দাবি করেছেন, ২৬ অক্টোবর বাসায় অবস্থানকালে সকাল ৭টার দিকে ইউটিউবে দেখতে পান গানের তালে হজের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিকে নিষিদ্ধ বাদ্য বাজনা তথা আধুনিক মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে বিকৃত সুরে গান আকারে বিকৃতাকারে অশ্রদ্ধার সঙ্গে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাতালের ন্যায় গাওয়া হচ্ছে।
এ দোয়া প্রতিটি মুসলিমমের কাছে বিশুদ্ধ ও পবিত্র। এ দোয়া বা প্রার্থনা সাধারণত হজের সময় বিনয়ের সঙ্গে শ্রদ্ধাভক্তি দিয়ে পাঠ করা হয়। গানের অনুষ্ঠানটি টিএসসিতে ভাস্কর্যের সামনে করা হয় এবং পেছনে সাইনবোর্ড আকারে লেখা ছিল সহিংসতা। গানের মধ্যে আরও দেখা যায় যে, মুসলমানদের পবিত্র কালিমার অংশও গানের তালে পাঠ করা হয়।
এই গান তার ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনেছে অভিযোগ করে মামলার আবেদন করেছেন আইনজীবী ইমরুল হাসান। তবে মামলার আগে তিনি মেঘদলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।