কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^াবদ্যালয় থানার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সৃষ্ট দ্বন্দে চাচাকে হত্যা মামলায় দীর্ঘ ১০বছর পর ইটাল(৩৫) ও আজম(৩২) নামে আপন দুই সহোদরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১এর বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ন আদালতে আসামীদ্বয়ের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নৃসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত: মহিউদ্দিনের ছেলে ইটাল(৩৫) এবং আজম(৩২)। আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনদায়ে আরও ১বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী ইটাল ও আজমের আপন চাচা তহির উদ্দিনের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে পূর্ব থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। ২০১০ সালের ০৩জুন, সকাল সাড়ে ৮টায় নিজ বাড়ির সামনে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে চাচা তহির উদ্দিনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় জ্ঞানশুন্য হয়ে চাচা তহির উদ্দিন মাটিতে পড়ে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত: ঘোষনা করেন।
এঘটনায় নিহত তহির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে ইবি থানায় তিনজনের নামোল্লেখসহ মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে হত্যাকান্ডে জড়িত হিসেবে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ২৭অক্টোবর ইবি থানার উপ-পুলিশ পদির্শক সৈয়দ আশিকুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন আদালতে।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, কৃষক তাহের হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত চাচা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হয়েছে। দীর্ঘ ১০বছরের অধিক সময়ের পূর্বে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকান্ডের দায়ে বিজ্ঞ আদালত আসামী ইটাল ও আজমের যাবজ্জাীবন কারাদÐাদেশসহ ২৫হজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজা ভোগ করতে হবে।