অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়া সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সাজা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
আদালতে হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
গত ৩১ জানুয়ারি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করা হয়। গত বছরের ১১ নভেম্বর সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের দণ্ডের মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ৯ নভেম্বর হাজী সেলিমের মামলাটি হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে উপস্থাপন করা হয়।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।