প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের ন্যূনতম ১০ শতাংশ নিয়োগ করলে প্রদেয় করের ৫ শতাংশ কর রেয়াত প্রদানের বিধান রয়েছে। তবে অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কর্মী নিয়োগ করা সম্ভব হয় না। ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আশানুরূপভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন না।
এ কারণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানর হার ২ শতাংশ ও কর ছাড়ের হার ৫ শতাংশ করে বিধান সংশোধন করলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
গুলশানের বিজিএমইএ পিআর অফিসে বুধবার ২৭ অক্টোবর বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিমের সাথে জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার নেতৃত্বে ৯ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের নেতারা এমন দাবি জানান।
দেশে মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ শতাংশই কোন না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন- ২০১২ অনুযায়ী দেশে ১১ ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে। অথচ কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকার জন্য এসব মানুষ পরিবার ও সমাজের গলগ্রহ হয়ে মর্যাদাহীন জীবনযাপন করছে ।
আলোচনায় তারা পোশাক কারখানাগুলোতে বেশি করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া এবং কারখানাগুলোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত কাজের পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে উদ্যোগ কামনা করেন । এ সময় বিজিএমইএসহ সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ২ শতাংশ নিয়োগ ও ৫ শতাংশ কর ছাড় পাওয়ার প্রস্তাবনার সাথে একমত পোষণ করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার কার্যক্রম ব্যবস্থাপক বশির আল হোসাইন, ডিজাবল্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর নাসরিন জাহান, উইমেন উইথ ডিজাবিলিটি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আশরাফুন নাহার মিষ্টি, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ডিজাবল্ড উইমেন এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আখতার, ডিজাবল্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট অফিসার মো মনির হোসেইন, জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি সুশান্ত দাশ ও উইমেন উইথ ডিজাবিলিটি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টেন্ট কোঅর্ডিনেটর সামিরা হক প্রমুখ।