পাঁচটি ক্লাব ও নয়টি ক্রিকেট মাঠ। এটুকুই ছিল সম্বল। এ নিয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে উঠে আসাই বিশাল সাফল্য। কিন্তু নামিবিয়ার তাতে মন ভরেনি। এই প্রথম টি ২০ বিশ্বকাপে খেলতে এসেই সবাইকে চমকে দিয়ে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিয়েছে আফ্রিকার ছোট্ট দেশটি। এতো বড় সাফল্যতে ম্যাচ জয়ে ক্ষুধা আরো বেড়ে গেল তাদের। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচও জিতে নিল ২৬ লাখ জনসংখ্যার দেশটি।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ২১তম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ান বোলারদের তোপে বেশি দূর এগুতে পারেনি স্কটল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৯ রান তোলে স্কটল্যান্ড। আর ১১০ রানের মামুলি লক্ষ্য ৫ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হাতে রেখে পূরণ করে ফেলেছে নামিবিয়া। এ লক্ষ্য পূরণে ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার ক্রেইগ উইলিয়ামস ও মাইকেল ভান লিঙ্গার। ২৯ বলে ২৩ রান করেন উইলিয়ামস আর মাইকেল করেন ২৪ বলে ১৮ রান।
৯ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে অর্ধেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেন তারা। দুই ওপেনার আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে অল্প রানের মধ্যে দুটো উইকেট পড়ে যায়। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি স্কটল্যান্ডের । নামিবিয়ার সেরা দুই ব্যাটার ডেভিড ভিসা ও জেজে স্মিথ হেসেখেলেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। যদিও ভিসা অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে পারেননি। জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৪ রানের। ১৮তম ওভারে পর পর দুটি ছক্কা হাঁকান ভিসা।
৪র্থ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনি ডিপ থার্ড ম্যানের হাতে ধরা পড়লেও জয়ে বেগ পেতে হয়নি নামিবিয়ার। ১৪ বলে ১৬ রান করে আউট হন ভিসা। এরপর ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেনে স্মিথ। ২৩ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন স্মিথ। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া স্কটল্যান্ড ইনিংস গুটায় ১০৯/৮ রানে। প্রথম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া স্কটিশরা দলীয় ১৮ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট।
প্রথম ওভারেই টপাটপ তিন উইকেট তুলে নেন নামিবিয়ার পেসার রোবেন ট্রাম্পলম্যান। ৪ বলের ব্যবধানে তিনি সাজঘরে ফেরান জর্জ মুনসে (০), কলাম ম্যাকলিওড (০) আর রিচি বেরিংটনকে (০)। ২ রানে ৩ উইকেট হারায় স্কটিশরা। এরপর ডেভিড ওয়াইজের বলে ক্রেইগ ওয়ালেস (০) এলবিডব্লিউ হলে ১৮ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকে স্কটল্যান্ড। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১০৯/৮ রানে ইনিংস গুটায় স্কটল্যান্ড।